আবারও জঙ্গি হামলার শিকার পাকিস্তান। বিস্ফোরণ হামলায় কেঁপে উঠে করাচি বিমানবন্দর এলাকা। এতে প্রাণ গেছে ২ চীনা নাগরিকের। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বোরবার (৬ অক্টোবর) রাতে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এই হামলা হয়। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে চিহ্নিত করেছে পাকিস্তানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের কাছে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। প্রকৌশলীসহ চীনা নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে এই হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা। হামলায় গাড়িতে স্থাপনযোগ্য ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় করাচি পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চীনা দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের কাছে পোর্ট কাশিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির একটি গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা দুদেশের ভুক্তভোগীদের জন্য গভীরভাবে শোকাহত। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য আমরা সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী বালুচিস্তান প্রদেশ পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। বিএলএ এই প্রদেশের স্বাধীনতা চায়। আগস্টে দলটির সমন্বিত আক্রমণে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরব সাগরের কৌশলগত বন্দর গোয়াদারের মতো যেসব ক্ষেত্রে চীনের স্বার্থ রয়েছে, সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে থাকে বিএলএ। এর আগেও চীনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও করাচিতে বেইজিং কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের অভিযোগ, বালুচিস্তানকে শোষণ করতে ইসলামাবাদকে সহায়তা করছে বেইজিং।