খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনার জেরে জেলা সদরে জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল রাখা হয়েছে।
তবে গণপিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যু এবং দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার ( ০২ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সরকারি কাজে বাধা এবং হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি বাজার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা।
এ ঘটনার জেরে শহরজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করা হয়।
এদিন সকালে গণপিটুনিতে নিহত হন সোহেল। তিনি খাগড়াছড়ি কারিগরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। এর জেরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে কারাগারে যান সোহেল। সম্প্রতি তিনি ছাড়া পেয়ে আবার কর্মস্থলে যোগ দেন।
মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে পোস্টে ছড়ানো হয় যে, টেকনিক্যাল এলাকায় বাঙালিরা এক পাহাড়ি নারীকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর পাহাড়িরা দলে দলে এসে স্কুলে ঢুকে সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।