মাঝে দুই দিন তো এক বলও মাঠে গড়ায়নি। প্রথম দিনেও খেলা শুরু হয়েছিল এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে চতুর্থ দিনের মতো পঞ্চম দিনেও নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছে খেলা। কানপুরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ভারত এই টেস্ট জয়ের জন্য যে কতোটা আগ্রাসী তার ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিল।
মাত্র ৩৪ দশমিক দুই ওভার ব্যাট করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করার পর তা আর বুঝতে বাকি ছিলো না কারোই। এই অল্প সময়ে তারা তুলে নেয় ৯টি রেকর্ড। পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলায় ভারতের সেই আগ্রাসী মনোভাবে জল ঢেলে দিতে পারতেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু তা হয়নি।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। এরপর শান্ত-সাদ্দাম ৫৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু তার পর যা ঘটলো, তাতে কানপুর জয়ের সুবাস পেয়ে গেছে মিস্টার শর্মার বাহিনী।
বাংলাদেশি কাপ্তান যখন আউট হন, তখন স্কোর ৯১। এখান থেকে ৯৪ অর্থাৎ তিন রান করতে বাংলাদেশ হারায় তিন ব্যাটার। বলা যায়, এখান থেকে বাংলাদেশ ছিটকে গেছে ম্যাচ থেকে। তিন রান করতে আউট হওয়া চার জন ব্যাটার হলেন, শান্ত, সাদ্দাম, লিটন ও সাকিব। এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছেন সাদ্দাম ৫০। আর মুশফিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান। তাদের লিড ৭৮।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অশ্বিন, জাদেজা তিনটি করে এবং বুমরাহ দুটি ও আকাশদীপ একটি উইকেট নিয়েছেন।