আজ বিশ্ব হার্ট দিবস (২৯ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’ অর্থাৎ ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে’।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আলোচনা সভা, র্যালি ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হবে। এরই অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান (প্রজ্ঞা) ‘উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে।
দুপুর ১টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে পেসেন্ট ফোরাম।
অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ। ঢাকার বাইরে সরকারিভাবে শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারিভাবে চারটি হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারির ব্যবস্থা রয়েছে। রোগটির উন্নত চিকিৎসায় ৮০ শতাংশ রোগীর ভরসা রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
ফলে সঠিক সময়ে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা না পাওয়াসহ নানা কারণে প্রতিবছর পৌনে তিন লাখ (দুই লাখ ৭৩ হাজার) মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউট হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ১ হাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে ৯৫ হাজার ২৪ জন ও বহির্বিভাগে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৬ রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে জরুরি বিভাগে ১ লাখ ১৫ হাজার একজন এবং বহির্বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৯ জন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে রোগী আরও বেড়ে জরুরি বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৩ জন এবং বহির্বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৮ জন।