ম্যাচ যখন টাইব্রেকারে গড়ায়, ঠিক আগ মুহূর্তে কোচ সাইফুল বারী টিটু গোলকিপার পরিবর্তন করেন। নাহিদুল ইসলামের জায়গায় আলিফ রহমান ইমতিয়াজ তেকাঠির দায়িত্বে। আর কোচের এমন কৌশল বেশ কাজে দিয়েছে। আলিফ পাকিস্তানের আব্দুল ঘানির নেওয়া অষ্টম শট রুখে দিয়ে বাংলাদেশকে ফাইনালে নিতে সহায়তা করেন। আর মিঠু চৌধুরী শেষ শটে জাল কাঁপিয়ে লাল-সবুজ দলে আনন্দের ঢেউ বইয়ে দেন।
বাংলাদেশের হয়ে অন্য গোলগুলো করেছেন মুর্শেদ আলী, জয় আহমেদ, সায়েম অমিত, কামাল মৃধা, মোহাম্মদ মানিক ও আকাশ আহমেদ।
এর আগে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে বাংলাদেশ আধিপত্য দেখায়। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল পায়নি। অষ্টম মিনিটে অপুর ক্রসে নাজমুল হুদা মাথা ছোঁয়ালেও বলে চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
২৮ মিনিটে নাজমুলের বাড়ানো দারুণ থ্রু বল পেয়ে যান অপু। অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বক্সেও ঢুকে পড়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু পারেননি পাকিস্তানি গোলকিপারকে পরাস্ত করতে।
৩২ মিনিটে ধারার বিপরীতে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কর্নারে উড়ে আসা বলে হেড করে জালে পাঠান শাহাব আহমেদ।
বিরতির পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম করে। ৬০ মিনিটে আব্দুল রেহমানের পেনাল্টি গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বাংলাদেশ ৭২তম মিনিটে সুযোগ পায়। বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ মানিকের কোনাকুনি শট পাকিস্তানের গোলকিপার ঝাঁপিয়ে আটকান।
এরপরই কর্নার থেকে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় বাংলাদেশ। কর্নারের পর বক্সের ভেতর থেকে সাইড ভলিতে জাল খুঁজে নেন বদলি ফরোয়ার্ড মিঠু চৌধুরী।
শেষ দিকে এসে আক্রমণ ধরে রেখে বাংলাদেশ সমতাসূচক গোলটি পায়। যোগ করা সময়ে রিফাত কাজীর ক্রসে মানিকের নিঁখুত প্লেসিংয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বাংলাদেশ। স্কোরলাইন ২-২ হলে ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ হাসি বাংলাদেশের। এখন ৩০ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে সাইফুল বারী টিটুর দল। আরেক সেমিফাইনালে নেপালকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।