সরকার বদলের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ও কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজি অনেকটা কমে এসেছে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে এমনটা সবাই ভেবেছে। কিন্তু দাম তো কমেনি বরং নানা অজুহাতে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে সবজি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়ছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাজার নজরদারি কম থাকায় ফড়িয়ারা ভোক্তার পকেট কাটছে।
জানা গেছে, পটল ও চিচিঙ্গা কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ টাকায়। ৫০ টাকার লাউ এখন ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ২০ টাকার কাঁচা কলার হালি এখন ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকার শাকের আঁটি বেড়ে ১২ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর অন্য কাঁচাবাজারগুলোতে আরও চড়া দামে বিক্রি হয় নিত্যপণ্য।
এদিকে একদিনের ব্যবধানে রাজধানী কাঁচাবাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। অথচ এই দুই পণ্যের দামই নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। যার কোনোটিই বিক্রি হচ্ছে না বেঁধে দেয়া দামে।
এই বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যেমকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাজার নজরদারি কম থাকায় পণ্য প্রতি দামে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তাছাড়া একেক বাজারে একেক দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যে বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাত দিচ্ছে, তা যৌক্তিক না। বাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের দায়িত্বশীল এজেন্সিগুলোর তৎপরতা নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।