Published : Monday, 23 September, 2024 at 4:15 PM, Update: 24.09.2024 1:24:48 AM
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর এবার জানা গেল শিবিরের সেক্রেটারির নাম। গতকাল রবিবার সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারির প্রসঙ্গ তোলার পরই তুমুল আলোচনার ঝড় ওঠে।
আব্দুল কাদের ওই স্ট্যটাসে ফরহাদ নামের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে তিনি এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিম উদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ২০২২-২৩ সেশনে জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন।
ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বলে জানা যায়।
এদিকে ফরহাদের ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর তার আরেকটি রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। তার আরেকটি পরিচয়ে রীতিমত সবাই বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল থেকেই কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার অনুষ্ঠানের ছবিও ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজীর সঙ্গে ফরহাদ রয়েছেন।
অন্যদিকে তানভীর হাসানকে ফরহাদের ফুল দেওয়ার আরেকটি ছবিও ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাদিক কায়েম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবিরের।