জাতিসংঘের ই-সরকার উন্নয়ন সূচকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এ বছর ১১ ধাপ এবং ই-পার্টিসিপেশন সূচকে ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০০৩ সালের পর এবার সর্বোচ্চ ইজিডিআই ভ্যালু (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে।
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে ২০২৪ অনুযায়ী, এ বছর ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১০০তম। গত বছর ছিল ১১১তম। ২০২০ সালের প্রতিবেদনে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৯তম। অন্যদিকে, ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৭০তম। গত বছর ২০ ধাপ এগিয়ে উঠেছিল ৭৫তম অবস্থানে।
তবে এই অর্জন নিয়ে তুষ্ট থাকতে পারছেন না খাত সংশ্লিষ্টরা। কেননা, অনলাইন সেবা সূচকে উন্নতি হলেও মানব সম্পদ ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ততটা ভালো করেনি। একইভাবে প্রতিবেদনে খাত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের অবদানও উপেক্ষিত রয়েছে বলে মনে করেন প্রযুক্তিবোদ্ধারা।
এ বিষয়ে সিনেসিস আইটির গ্রুপ সিইও রূপায়ন চৌধুরী জানান, ১১ ধাপ এগোলেও সামগ্রিকভাবে এই অগ্রগতি খুব একটা ভালো না। কেননা ই-সরকার উন্নয়ন সূচক তৈরি হয় তিনটা ইনডেক্স থেকে। সেগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো না। দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের পরে আমরা। আমাদের তুলনামূলক নম্বর ০.৭৩৭৪। অবস্থান ৬৭তম। এর পুরোপুরি কৃতিত্ব এই সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সকল কোম্পানির।
অথচ সবচেয়ে কম বরাদ্দ থাকত সফটওয়্যারে। বছরে মনে হয় না ৫০০ কোটি টাকা শুধু সফটওয়্যারে বরাদ্দ থাকত। কোম্পানি কাজ করে ১৩০০'রও বেশি। বেশি বরাদ্দ থাকে হার্ডওয়্যার, ট্রেনিং-এ, বিদেশি ট্রেনিং ও সরকারের বিভিন্নভাবে থাকা কনসালটেন্টদের পেছনে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সেখানেই পিছিয়ে রয়েছে দেশ।