ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্তুগালের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কয়েকটি এলাকা। বনাঞ্চলের ১২৪ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে তৈরি হওয়া এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন অগ্নিনির্বাপন বিভাগের কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মী।
শনিবার পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনজনই অগ্নিনির্বাপন উদ্ধারকর্মী। এই দুর্যোগে উদ্ধারকর্মী এবং দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশী প্রবাসী সাংবাদিকদের সংগঠন পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব।
শনিবার বিকেলে বাংলাদেশি অধ্যুষিত মারতিম মনিজ এলাকার অগ্নিনির্বাপন বিভাগের সাপাদরেস কার্যালয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে প্রথমিক চিকিৎসার সামগ্রী, ওষুধ, পানি, জুস সহ জরুরী খাদ্যপণ্য তুলে দেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
দুর্যোগ মোকাবেলার জরুরী পণ্য গ্রহণ করে অগ্নিনির্বাপন বিভাগের কর্মকর্তারা পর্তুগাল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের জাতীয় বিপর্যয়ে বাংলাদেশিদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে তারা অনন্য দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ জানান, গত কয়েকদিন ধরে পর্তুগালের উত্তর পশ্চিমাংশে দাবানলে কয়েকটি এলাকা পুড়ছে। দিনরাত প্রাণান্তর কাজ করে যাচ্ছেন অগ্নিনির্বাপন বিভাগের কর্মীরা। ইতোমধ্যে ১২৪ হাজার হেক্টর ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র আভিইরো শহর থেকে প্রায় দেড় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি এলাকায় আগুন নেভানোর পাশাপাশি তল্লাশি করছেন তারা। শনিবার পর্যন্ত এই দুর্যোগে নিহত সাতজনের মধ্যে তিনজনই অগ্নিনির্বাপন বিভাগের কর্মী। দাবানলে আহত হয়েছেন অন্তত ১২০ জন।
জরুরি পণ্য হস্তান্তরের সময় পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক শহীদ আহমদ ,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ তানভীর সহ নবগঠিত কমিটির সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সভাপতি এস এম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ জাহিদ কায়সার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আসাদ এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম নয়ন উপস্থিত ছিলেন।