Published : Friday, 20 September, 2024 at 2:44 PM, Update: 20.09.2024 4:19:52 PM
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারী করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
সকালে দীঘিনালায় হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বনরুপা বাজারে পৌঁছলে পুরো শহরে গুজব ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বনরুপা বাজারে হামলা চালানো হয়। আগুন দেওয়া হয় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
বিভিন্ন এলাকায় আহতের খবর পাওয়া গেলেও হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর খান।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে আগুন দেয়া হয়। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৬০টি দোকান।