Published : Saturday, 14 September, 2024 at 4:09 PM, Update: 14.09.2024 4:13:07 PM
পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপ করা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের শর্ত দিয়েছিল তার। দেশটির সরকার তা প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্ক।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড এই ঘোষণা দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর এসব কঠোর শর্ত শিথিল করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তের পর এখন থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেকোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।
এ ছাড়া পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের এই তথ্য জানানো হয়।
ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ।
ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামলেও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে হু হু করে। বাংলাদেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম সেই সময় লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পায়।
ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতেও পেঁয়াজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল, বিশেষ করে ভোটের বেলায়। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই নির্বাচনকে ‘পেঁয়াজের নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সভানেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল নয়াদিল্লিতে সে সময়ে আসীন কংগ্রেসবিরোধী সরকার।
নির্বাচনে জয়ের পর পেঁয়াজের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কংগ্রেস সরকার। এতে কৃষক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে রীতিমতো পেঁয়াজ রপ্তানির হিড়িক পড়ে যায় এবং বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৬ রুপি পর্যন্ত উঠেছিল, যা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে রীতিমতো ‘রাজকীয় মূল্য’। সূত্র: দ্য হিন্দু, রয়টার্স।