Published : Sunday, 1 September, 2024 at 7:38 PM, Update: 01.09.2024 11:41:44 PM
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন গাজী টায়ার্স কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া যাচ্ছে মানুষের পোড়া হাড়গোড়, কলিজা, মাথার খুলিসহ বিভিন্ন আলামত। ঘটনার আটদিন পর নিখোঁজের স্বজনেরা কারখানা তল্লাশি করে এসব আলামত উদ্ধার করেছেন। পরে তা ফরেনসিকের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজদের তালিকা প্রস্তুত ও ঘটনার সূত্রপাত উদঘাটনে আয়োজিত গণশুনানীকালে এসব মালামাল উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এদিকে ১২৯ জন নিখোঁজের তালিকা লিপিবদ্ধ করেছেন তদন্ত কমিটি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, গত ২৫ আগষ্ট গাজী টায়ার্স কারখানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। টানা ৩২ ঘণ্টার আগুনে সেখানে কিছু ইঞ্জিন আর ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট ছিলো না। আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ভবন ও লোহার অবকাঠামোও যে কোনো সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় বুয়েট বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে গত ৩০ আগষ্ট থেকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু মানুষের পোড়া অংশবিশেষ পাওয়া গেছে তাই নিখোঁজের ব্যাপারটি গুজব নয়। আমরা যে কোন প্রক্রিয়ায় আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করবো। আমরা চাই যেনো একটু আলামত নিয়ে হলেও পরিবার তাদের জানাজা দিতে পারেন অথবা সৎকার করতে পারেন।
আগুনের সময়ে ভেতরে বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়ার অভিযোগ তোলেন নিখোঁজদের স্বজনেরা। তাই রোববার কারখানা অভ্যন্তরে নিখোঁজদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্যর তদন্ত কমিটি আয়োজন করের গণশুনানীর।
উল্লেখ্য, শুনানী চলাকালে কয়েকজন অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে যায়। সেখান থেকে তারা কিছু মানুষের পোড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করেন। পরে সেগুলো ফরেনসিক পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়।