সম্পদের হিসাব জমা দিতে দুই দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয়। এরপর আলোচিত সাবেক এই দুই কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার পরিবারসহ সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন নিশ্চিত করেছেন।
তবে তাদের দেয়া হিসাবের সঙ্গে দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া হিসাবে যাচাই-বাছাই করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি। জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে দায়ের করা হবে মামলা।
পুলিশের আলোটিত সাবেক কর্মকর্তা বেনজীর ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে এর আগেই। সরকারি চাকরি করে কীভাবে পাহাড়সম সম্পদ গড়েছেন সাবেক এই দুই কর্মকর্তা তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।
দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তার পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাব খুঁজে পেয়েছে। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
অবশ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে, তাতে দেখা গেছে বেনজীর ও পরিবারের সদস্যদের ভোগদখলে থাকা সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি।
এদিকে মতিউর ও তার স্বজনদের নামে অন্তত ৬৫ বিঘা জমি, ৮টি ফ্ল্যাট, ২টি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং ৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে দুদক।
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে। মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।