গাজা, পশ্চিমতীর সবখানে ইসরাইলি সেনারা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। সর্বশেষ গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে নুসেইরাতে ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। গাজা উপত্যকা জুড়ে এই সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪। মাঠপর্যায়ে মেডিকেল সূত্রগুলো এই তথ্য দিয়েছে। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬০২ ছাড়িয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা এক লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। জেনিন শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এর ফলে ওই শহরের বাসিন্দারা খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। কয়েক দশকের মধ্যে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক অভিযানে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
ফিলিস্তিনে শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, বুধবার পশ্চিমতীরে অভিযান শুরু করে ইসরাইল। তারপর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা। এর মধ্যে আছেন একজন বিকলাঙ্গ ও সাতটি শিশু। আজ রোববার থেকে গাজায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে ইসরাইল যে মাত্রায় হামলা চালাচ্ছে তাতে স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য পৌঁছানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গ্রুপ। দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্রাজুয়েট স্টাডিজের মিডিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রাম বিষয়ক প্রফেসর মোহামেদ এলমাসরি বলেন, গত বছর ৭ই অক্টোবরের আগে থেকেই দখলীকৃত পশ্চিম তীরে অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তাদের দখলদারিত্ব সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা এক সময় ফিলিস্তিনি জনগণ থেকে মুক্তি পেতে চায়। এ জন্য পশ্চিমতীর এবং গাজায় তারা জাতি নিধনে নেমেছে। ইসরাইলের উদ্দেশ্যের দিক থেকে এখনই পশ্চিম তীরে তাদের যুদ্ধে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ, গাজায় কী ঘটছে তা নিয়ে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত। গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোনো পদক্ষেপ না থাকায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে ইসরাইল। যদি তারা গাজায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে রক্ষা পায়, তাহলে কেন তারা পশ্চিমতীরে অভিযান চালাবে না? প্রশ্ন রাখেন এলমাসরি। ওদিকে ইসরাইলের আর্মি রেডিও’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাস ইটজিওন নামের ইসরাইলি বসতির কাছে সন্দেহজনক ঘোরাফেরার কারণে ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাতে গাস ইটজিওনে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
এর কাছাকাছি ইসরাইলি বাহিনী কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে দেখতে পায়। তাদের মধ্যে দু’জনকে হত্যা করেছে তারা।