পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনার কথা থাকলেও নির্মাণকাজ শুরু হবে, হবে করে কয়েক দফায় পিছিয়েছে। সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড সভা শেষে ফারুক বলেছেন, আগামীকাল টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করেছি।
আগামী ২০৩১ সালে বাংলাদেশে হওয়ার কথা রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য ভেন্যু বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া আছে আইসিসিকে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই নৌকার আদলে তৈরি করার কথা ছিল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামকে দ্য বোট নামেও ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরই স্টেডিয়ামটির ভবিষ্যৎ শঙ্কায় পড়ে যায়।
বোর্ড সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায় স্টেডিয়ামটির টেন্ডার বাতিল করলেন। আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডার জমা দেয়ার সুযোগ পেতেন। তারিখ শেষ হওয়ার একদিন আগে বিসিবি টেন্ডার প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিলো।
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট বাতিল হলেও পূর্বাচলে স্টেডিয়াম হবে বলে জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ। দীর্ঘদিনের ভেন্যু সংকট কাটাতে ছোট বাজেটের মধ্যে দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নতুন বোর্ড সভাপতি। আগের পরিকল্পনায় শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, পর্যাপ্ত অনুশীলন মাঠ, ইনডোর মাঠ, খেলোয়াড়দের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা, বিসিবির সদর দফতর এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেল রাখার কথা ছিল। স্টেডিয়ামের পাশে পাঁচ তারকা হোটেলও নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু এখন সেইসব কিছুই থাকবে না।
এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেছেন, আপনি জানেন যে, আমরা এ মুহূর্তে এত বড় প্রজেক্ট এটা কিন্তু মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে! সময়ও নেই, আগামীকাল (আজ) দরপত্রের শেষ তারিখ ছিল। সেজন্য আমাদের এটা করতে হয়েছে।
ভবিষ্যতে পূর্বাচলে মাঠ হলেও নৌকার আদলে হচ্ছে না এটি নিশ্চিত। এ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও ফারুক আহমেদ বলেছেন, কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, জানি না। সবমিলিয়ে আগামী শনিবার আমরা এই মাঠ দেখতে যাচ্ছি, চেষ্টা করছি টাকাটাযতটুক টাকা খরচ হয়েছে (কনসালটিং ফ্রি হিসেবে), আমরা চেষ্টা করছি (ক্ষতি কমিয়ে আনতে)। পুরোটা তো পরিপূর্ণ হবে না। তারপরও ওখান থেকে যদি কিছুটা রিকভারি করতে পারি। চেষ্টা করবো খেলা চালানোর মতো দুটি মাঠ বানানো যায় কিনা।
ফারুক আহমেদ আরও বলেছেন, আমাদের সব কাজ করতে হবে, কাজ ঠিক রেখেই। যে অসংলগ্নতা, দুর্নীতি, খারাপ কাজ হয়েছে সেগুলো আমরা সরাবো। তার সঙ্গে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করবো। তাই আমি সব বন্ধ করে একদিকে যেতে পারবো না।