বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে, বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গেট আগে থেকেই খোলা ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। এবার এসব প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফারাক্কা ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে এ নিয়ে সোমবার (২৬ আগস্ট) কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খোলা হয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি। এসব রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে গঙ্গা/পদ্মা নদীতে প্রাকৃতিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে। এটি একটি স্বাভাবিক ও মৌসুমগত ঘটনা। উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকার ক্যাচমেন্ট (নদীর পাশে) এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত থেকে প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ঘটে থাকে।
ফারাক্কা একটি ব্যারেজ উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বুঝতে হবে ফারাক্কা বাঁধ নয়। পানির স্তর উপরে উঠে গেলে এটি প্রবাহিত হতে থাকে। ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরানোর জন্য এটি নিছক একটি কাঠামো, যা প্রধান গঙ্গা/পদ্মা নদীর ওপরের গেটগুলোর একটি সিস্টেম ব্যবহার করে সাবধানতার সাথে করা হয়।
যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে প্রটোকল অনুযায়ী ফারাক্কার সব ডেটা বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হয় বলে দাবি করেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, এবারও এমন করা হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ভুয়া ভিডিও, গুজব ও বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আসলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আসল তথ্য জেনে এগুলো বলা দরকার।