খারাপ সময় পিছু ছাড়ছেই না সাকিব আল হাসানের। রাওয়ালপিণ্ডি টেস্ট চলার সময়ে হত্যা মামলায় উঠেছে তার নাম। তারও আগে ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট শিকার করে কিছুটা হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। কিন্তু সেই টেস্টে ঘটিয়েছেন এমন এক কাণ্ড, যে কারণে শাস্তি পেতে হচ্ছে তাকে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দিকে বল ছুঁড়ে মেরেছিলেন সাকিব। তার এমন আচরণ অবাক করে দিয়েছিল মাঠের দুই আম্পায়ারকেও। তখনই আন্দাজ করা যাচ্ছিল শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সাকিব। হয়েছেও তাই। আইসিসির নিয়ম ভাঙায় ম্যাচ ফি'র ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। একই সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে এক ডিমেরিট পয়েন্ট।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ দলও শাস্তি পেয়েছে। স্লো ওভার রেটের কারণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৩টি পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের। একই সঙ্গে করা হয়েছে জরিমানাও।
একই কারণে শাস্তি পেয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি'র ৩০ শতাংশ কেটে নেয়ার পাশাপাশি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ পয়েন্ট কাটা হয়েছে।
ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের আনা অভিযোগ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে পাকিস্তান ৬ ওভার পিছিয়ে ছিল। অন্যদিকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৩ ওভার। পাকিস্তানের তাই ৬ পয়েন্ট কাটা গেলেও বাংলাদেশের কাটা গেছে তার অর্ধেক। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি'র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
আইসিসির কোড অব কন্ড্যাক্ট অনুযায়ী, প্রতি ওভার ধীর বোলিংয়ে পিছিয়ে থাকার জন্য ৫ শতাংশ করে জরিমানা ও ১ পয়েন্ট করে কেটে রাখার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ অভিযোগ মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
সাকিবকে শাস্তি হিসেবে তাই ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হচ্ছে। তিনিও শাস্তি মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে আর শুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না।