Published : Thursday, 22 August, 2024 at 11:27 PM, Update: 22.08.2024 11:48:09 PM
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের ৮ জেলা বন্যায় দেখা দিয়েছে। বন্যাসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘উচ্চ পর্যায়ের কমিটি’ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এসময় তিনি ভারত সরকারকে এই প্রস্তাব দেন। দ্রুত এই কমিটি করে বন্যা মোকাবিলায় ভারতের সহযোগিতা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় দূতকে ড. ইউনূস পানির তথ্য বিনিময়ে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতার কথা বলেছেন।
শফিকুল আলম বলেছেন, ‘স্যার বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায়ই, বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। এমন কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না, আমরা আর ভারত এক ধরনের উচ্চ পর্যায়ের পতাকা বৈঠক… যেহেতু এই ধরনের হঠাৎ করে বন্যা যেহেতু আমরা ও ইন্ডিয়া একই ধরনের ক্যাচমেন্ট এরিয়া শেয়ার করি, অনেক সময় আমাদের ডেল্টাটাও ওভারল্যাপ করে, উই শেয়ার দ্য সেম ওয়াটার। সেজন্য এটা খুবই হাই লেভেল একটা কোলাবরেশন এবং জরুরি ব্যবস্থায় যাতে কার্যকর করা যায়, খুব দ্রুত মিটিং করে এটা জানানো।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ভারতের দূত বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় যে বন্যা হচ্ছে, সেটাও নজিরবিহীন। সেখানেও ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।’ উনি বলেছেন, ‘ইট হ্যাজ ক্রিয়েটেড হ্যাভোক অন বোথ সাইডস, বোথ ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ।’
ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেক ও সার্ককে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশের তরুণরা নিজেদের সমৃদ্ধির জন্য যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে, আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে ভারতের ত্রিপুরায় ডম্বুর নামে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে এবং একেই এই বন্যার জন্য দায়ী করে বক্তব্য রেখেছেন দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ হোসেন সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসাবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তা আমরা দেখেছি। এটা তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে গোমতী নদীর সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঁধের ভাটি এলাকার পানির কারণে বাংলাদেশের বন্যা হয়েছে।