রাজধানীর উত্তরায় জমজম টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তরার জমজম টাওয়ারের মোড় ও ১১নং সেক্টর মাইলস্টোনের সামনে গণমিছিলের সময় এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো উত্তরা এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ছিল। মিছিলের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশকে ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায়।
এ ঘটনায় উত্তরা ১১নং সেক্টরের ১নং রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউজের মালিক দুলাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে উত্তরার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শোনা গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।