কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তে নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। আগের এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন বাদ দিয়ে এবার তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠনের পাশাপাশি কমিশনের কার্যপরিধিও বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে তদন্ত কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন যে রংপুরে যাচ্ছে সে বিষয়টি সর্বসাধারণকে জানানোর জন্য আগামীকাল (শুক্রবার) মাইকিং করা হবে। তদন্ত কমিশনের কাছে যারা সাক্ষ্য দিতে আসবেন তাদের কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হলে কমিশন ছাড় দেবে না।
খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, আগামী ৪ আগস্ট কমিশন রংপুর যাবেন, ৫ আগস্ট সকাল ৯টায় রংপুর সার্কিট হাউসে সহিংসতায় নিহত মো. আবু সাঈদের বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। ৬ আগস্ট নিহত সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন মিলন ও মো. মানিক মিয়ার বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ৭ আগস্ট নিহত মেরাজুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল তাহেরের বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত ও আহতের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করবে ও কারণ উদ্ঘাটন করবে।
এ সময় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।