ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। এসময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হন।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে হামাস। ইরানি মিডিয়ার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন।
এতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।
হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। এতে বলা হয়, তেহরানে নিজ আবাসস্থলে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
তবে, হানিয়াকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিকে, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য এরইমধ্যে ইসরায়েলকে দুষতে শুরু করেছেন ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বিশ্লেষকেরা। তবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি দেশটি।
এর আগে গত জুনে ইসমাইল হানিয়ার পারিবারিক বাসস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সেই হামলায় তার বোনসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন।
তার আগে এপ্রিলে রোজার ঈদের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে এবং বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহন হন। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল ইসরায়েলি বিমান থেকে।