২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা কর দিয়েছেন বাংলাদেশের ধূমপায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক বছরের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দেশের একটি বেসরকারি পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ সিগারেট খাত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করেছে। ৩১টি কোম্পানি সিগারেট বিক্রির বিপরীতে সরকারকে এই শুল্ক-কর দিয়েছে, যা মূলত ধূমপায়ীদের পকেট থেকেই দিতে হয়। প্রতিটি শলাকার দামের ৬০-৮০ শতাংশই ধূমপায়ীদের শুল্ক-কর হিসেবে দিতে হয়।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিগুলোর সিগারেট বিক্রির বিপরীতে ৩২ হাজার ৮১৬ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করেছিল ভ্যাট বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সিগারেট এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত। দেশে পুরো সিগারেট বাজারের আকার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে, মার্কেটের সিংহভাগই দখলে রয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি)।
২০২৩ সালে বিএটিবি ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সিগারেট ও তামাকজাতীয় পণ্য বিক্রি করেছে। এতে তাদের প্রায় ৭ হাজার ১২৩ কোটি ৯০ লাখ শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সরকার সিগারেট খাতের ৮০ শতাংশের বেশি রাজস্ব পায়।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩৯ শতাংশের মতো।
তামাকবিরোধী প্রচারণা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা জানিয়েছে, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।