প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দেশটির হাজার হাজার বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সোমবার (২৯ জুলাই) উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের মুখপত্র রোদং সিনমুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সিনুইজু শহর এবং উইজু জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৪ হাজার ২শ’র বেশি মানুষ। ভেসে গেছে হাজার হাজার একর জমির ফসল।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বিমানে করে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেয়া হচ্ছে বলে জানান রোদং সিনমুন। সেনাবাহিনীর ১০টিরও বেশি হেলিকপ্টার এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে ভয়াবহ এ বন্যায় এখন পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। বিবিসি বলছে, যেসব অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে সেসবের মধ্যে চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলও রয়েছে।
এছাড়াও, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে যে খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বন্যায় তা আরও বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা এস. রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গর্ডন ক্যাং বিবিসিকে বলেছেন, বন্যা উত্তর কোরিয়ায় কোনো বিরল প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, তবে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে কিম জং উন সরেজমিনে গিয়েছেন— এই ব্যাপারটি বেশ বিরল। কারণ, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা সাধারণত প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি বিরূপ মন্তব্যের জন্যেই সংবাদের শিরোনাম হন। এর বাইরে অন্য কোনো ইস্যু বা কারণে তাকে সংবাদ শিরোনামে তেমন দেখা যায় না।
গর্ডন ক্যাং আরও বলেন, আমার ধারণা, বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন— এমন ছবি প্রকাশের মাধ্যমে কিম জং উন আসলে দেশবাসীকে বার্তা দিতে চাইছেন যে, বন্যার্ত মানুষকে সহায়তা প্রদানের মতো সক্ষমতা তার রাষ্ট্র রাখে।