পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভের ডাক দেয়ার পর সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা যাবে না।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান। সুপ্রিম কোর্টের একটি বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জমিয়ত উলেমা-ই- ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) ও আরও কয়েকটি ইসলামি দল।
পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতারাও তাদের কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করবে বলে জানিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মোকাবিলায় রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
রাজধানীতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং নাগরিকদের কোনো অবৈধ কার্যকলাপে অংশগ্রহণ এড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র দফতর শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে রোববার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত প্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা বলবৎ করার ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ করেছে পাকিস্তানের সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনার ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এই দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে থেকেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।
জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।
পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ ও পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দুদিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।