চলমান কোটা আন্দোলনের নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক করছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাবি ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে এদিন দুপুরে সরকারের নির্দেশনা মেনে সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আজও দিনভর উত্তপ্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর বুধবার রাতে হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।
ভাষণের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত বেদনা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করে জনগণকে উন্নত জীবনযাত্রা দিতে শুরু করেছি। অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটা মর্যাদার আসনে আসীন করতে সক্ষম হয়েছি। তারপর আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
অন্যদিকে সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।