শিরোনাম: |
কোটা সংস্কারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান। অন্যদিকে পূর্বের ন্যায় কোটা বহালের যুক্তি তুলেধরে কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সর্বোচ্চ আদালতে রিট মামলা চলমান। রিটের শুনাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন ‘কোটা নিয়ে এত কিসের আন্দোলন’।
কোটা প্রশ্নে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের মাধ্যমে সরকারি চাকুরীতে নিয়োগে ঢালাওভাবে শুধুমাত্র ১ম ও ২য় শ্রেণীর কোটা বাতিল করা হলে এই অচলায়তনের মৌলিক সমাধান আসবেনা। বরং ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি তথা ১ম থেকে ২০ তম গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ২%, মুক্তিযোদ্ধা ৩%, অনুন্নত জেলা ২%, নারী ২% ও প্রতিবন্ধী ১%। সকল গ্রেডে এই সর্বমোট ১০% কোটা রাখা যেতে পারে। আর বাকি ৯০% মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা এখন সময়ের অপরিহার্যতা হয়ে পড়েছে।
সুতরাং স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্ধনে কুট কৌশলে আদালতে মাধ্যমে সমাধানের পথে না হেঁটে, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ পূর্বের সকল পরিপত্র বাতিল করে, সুপারিশকৃত সরকারী চাকুরীর সুষ্ঠু কোটা বন্টনের নতুন পরিপত্র জারির মাধ্যমে সব পক্ষের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পারে। এবং এর মধ্য দিয়ে মেধার সর্বাধিক মূল্যায়ন ও কোটার সুষ্ঠু সংস্কার হওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি।
পাশাপাশি সাম্প্রতিক পিএসসি তে বিসিএস-এর প্রশ্ন ফাঁসের যে ভয়াবহ জালিয়াতি চক্র ধরা পড়েছে তা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
এ থেকে পরিত্রাণে দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের কালক্ষেপণ ব্যতিরেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে সরকারী চাকুরিতে যোগদান প্রশ্নে দীর্ঘদিনের যে অনাচার চলে এসেছে তার অবসান হতে পারে।
তবেই এ বাংলাদেশী জাতি রাষ্টের সর্বোচ্চ বিধানের মূলস্পিরিট সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।
অন্যথায় (আক্ষরিক অর্থে অন্ধ) আদালতের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষিত প্রজন্মের ওপর সংবিধানের মূল স্প্রিরিট বহির্ভূত যদি কোন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে কাঙ্খিত আগামীর মেধা ভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়বে।
আপনার মতামত দিন
|