বৃষ্টি থামার পরও জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক। নিউমার্কেটের নিচতলার সব দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় বারবার লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
প্রতি শুক্রবারই ক্রেতা সমাগমে মুখরিত থাকে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট। তবে আজকের (১২ জুলাই) চিত্র পুরোই উল্টো। সরেজমিনে দেখা যায়, থইথই পানিতে ভাসছে দোকানের মালামাল।
নিউমার্কেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন সামান্য পথ যেতে রিকশা বা ভ্যানে উঠে যেতে হচ্ছে তাদের। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা৷ নিচতলায় থাকা অধিকাংশ দোকানেই পানি প্রবেশ করায় মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ দুর্যোগের এমন সময়ে রিকশাচালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন৷ সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে সামান্য পথ যেতেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনছেন।
নীলক্ষেত মোড় থেকে বিজিবি ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। অন্য সময় এই দূরত্বের ভাড়া যেখানে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত ভাড়া রাখা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অন্য সময় যেখানে সর্বোচ্চ ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
মোবারক নামে একজন বলেন, বাসা থেকে বের হইছি ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা ঠিক করে৷ কি করবো! হেঁটে তো আর রাস্তায় বের হওয়ার উপায় নেই৷ কোমর পানি,কাপড়-চোপড় সব ভিজে যাবে৷
তবে রিকশাচালকরা বলছেন, বৃষ্ঠির দিনে কষ্ট করে কোমর পানিতে তারা রিকশা চালাচ্ছেন।এজন্য একটু বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
নাসির নামে এক রিকশাচালক বলেন, বৃষ্টির দিনে রিকশা চালাইতে কষ্ট৷ যেই পানি পুরা রিকশার চাকা পানিতে থাকে৷ প্যাডেল মারতে কষ্ট হয় অনেক, এজন্য ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হয়।
বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।৷ অনেকের দোকানে পানি ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম৷ তাদের কেউ কেউ রিকশা, ভ্যানে করে জিনিসপত্র দোকান থেকে বের করে নিচ্ছেন।
দোকান কর্মচারী শাকিল বলেন, দোকানের নিচে যত কাপড় রাখা ছিল বেশিরভাগই ভিজে গেছে। সব কাপড় বাসার ছাদে নিয়ে নাড়া লাগবো। এজন্য নিয়া যাইতাছি।
রাস্তায় ও গলিতে পানি জামে থাকার কারণে এসব এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ৷