Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ আইন ও বিচার বিভাগের নতুন সচিব গোলাম রব্বানী ■ নিম্ন আদালতের ১৬৮ বিচারককে বদলি ■ চীনা সৈন্যরা এখন ভারতের সেভেন সিস্টার্সে ■ দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কায় মালদ্বীপ ■ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান ও ন্যায্যতার ■ দেউলিয়া হওয়ার পথে ১০ ব্যাংক ■ ‘গুম’ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি হবে
আরও বাড়লো চালের দাম,সবজি আলু পেঁয়াজেও অস্বস্তি
Published : Friday, 12 July, 2024 at 3:12 PM

আরও বাড়লো চালের দাম,সবজি আলু পেঁয়াজেও অস্বস্তি

আরও বাড়লো চালের দাম,সবজি আলু পেঁয়াজেও অস্বস্তি

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নিত্যদিনের ভোগান্তি যেন কমছেই না। এতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এবার নতুন করে বেড়েছে প্রধান খাদ্য চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ভোক্তদের। এতে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুর কাচা বাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচাসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টির কারণে বাজারগুলোতে তেমন ক্রেতা নেই। তার পরও সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

অনেকদিন ধরেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে চালের দাম আরও বাড়ার বিষয়টি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’। 

কারওয়ান বাজারে কথা হয় ওই বাজারে শিমুল রাইস এজেন্সি নামে দোকানের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, মোকামে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনছি, সেভাবেই বিক্রি করছি।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টি, বন্যা ও ছাত্রদের আন্দোলনের (বাংলা ব্লকেড) কারণে বাড়ছে সবজির দাম।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এমনিতেই ক্ষেতে পানি জমে সবজি নষ্ট হওয়ায় কমে গেছে সরবরাহ। তার ওপর ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা। এতে চাহিদার চেয়ে জোগান কম থাকায় বাড়ছে দাম।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা ও লতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৮০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।

কমেনি কাঁচা মরিচেরও ঝাঁজও। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকায়। আর দাম বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। তবে সামান্য দাম কমে রসুন ২২০ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়।
 
এছাড়া, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়; প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৩০-৪০ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
ক্রেতারা বলছেন, নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। এখনই লাগাম না টানলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বাজার। 
 
তানজিদ নামে এক ক্রেতা বলেন, যে হারে সবজির দাম বাড়ছে, তাতে সীমিত আয়ের মানুষের টিকে থাকা দায়। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজিই। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ খাবে কী?
 
 রাশেদুল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজার যেভাবে চলছে এভাবে চলতে থাকলে আর কদিন পর সবজি কেনা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এখন বাজার মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে। সরকারের উচিত, বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া। না হলে বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিঃস্ব হবে সাধারণ ভোক্তারা।
 
এদিকে, গত সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩২০ টাকায়। এছাড়া প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।
 
অন্যদিকে, স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছেরদাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০-৫০ টাকা। মাছ ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়ার পেছনে বৃষ্টিকেই দায়ী করে বলছেন, মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে, তাই বাড়তি দাম।
 
বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না; ফলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।
 
আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

দেশ সংবাদ/এসএইচ


আরও সংবাদ   বিষয়:   বাজার   দরদাম   বৃদ্ধি   মূল্যস্ফীতি   বাজার  


আপনার মতামত দিন
খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমে ১১.৩৬ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
Sunday, 8 September, 2024
আশুলিয়ায় ১৫ পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি
সাভার প্রতিনিধি
Sunday, 8 September, 2024
চট্টগ্রাম বন্দরে ২ জাহাজের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Saturday, 7 September, 2024
খুলেছে আশুলিয়ার বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো
সাভার প্রতিনিধি
Saturday, 7 September, 2024
আলু–পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thursday, 5 September, 2024
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এম. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০/২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up