দাবাড়ু পরিবারে জন্ম, জিয়াউর রহমানও নিজের ধ্যান-জ্ঞান বানিয়েছিলেন দাবাকেই। বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদের পথ ধরেই তিনি দাবায় এসেছিলেন। হয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার, এরপর ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও একই পথে হেঁটে হয়েছেন ফিদে মাস্টার। যে দাবাকে ধ্যান-জ্ঞান বানিয়েছিলেন, সেই দাবা খেলতে খেলতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে। ৩টায় তাদের ম্যাচটি শুরু হয়। খেলা চলাকালীন বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে তিনি লুটিয়ে পড়েন।
সেখান থেকে তাকে তুলে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসাও শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি এই গ্রান্ডমাস্টারকে।
অ্যাসেসিয়েশন অব চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত বিন ওসমান শাওন, টেলিফোনে দেশ সংবাদকে জানিয়েছেন, ‘প্রায় ১৫ মিনিট চিকিৎসকেরা তার পালস খুঁজে পাননি। প্রাণপণ চেষ্টার পর তাকে মৃতু ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা কী বলেছেন জানতে চাইলে শওকত বিন ওসমান শাওন বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসকরা বলেছেন হয় বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক অবথা ব্রেণ স্টোক হয়েছে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। ১৯৭৪ সালে জন্ম নেয়া জিয়া ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল আর ২০০২ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব অর্জন করেন। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শো ৭০ ফিদে রেটিংও তার।
১৯৮৮ সালে প্রথমবার জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হোন জিয়াউর রহমান। টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নও তিনি। যেখানে বাকি চার গ্র্যান্ডমাস্টার সম্মিলিতভাবে জিতেছেন ১৬ বার।