নাটোরে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন জেলা শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন চপল, পৌর বিএনপির ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিপলু।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নাটোরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু শহরের ফৌজদারী পাড়ার বাসা থেকে বিএনপি অফিসে আসার সময় নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে রাস্তার কাঁদা মাটির মধ্যে তাকে ফেলে রাখে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানে আসার পথে জেলা শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন চপলকে মারপিট করা হয়েছে। পরে বেলা ১০টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বক্তব্য শুরু করলে পুনরায় সমাবেশে হামলা করা হয়। হামলায় বুলবুলসহ আরও কয়েকজন এ সময় আহত হয়। এ ছাড়া সমাবেশে যোগ দিতে আসা অরও অনেক নেতাকর্মীকে শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা করে মারপিট করা হয়েছে।
রহিম নেওয়াজ বলেন, যারা হামলা করছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। একের পর এক হামলার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা নতুন করে হামলা করার সাহস পাচ্ছে।
এ সময় পুলিশ নির্লিপ্ত থাকারও অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, আমি এই হামলার বিষয়ে কিছু জানি না।
জানতে চাইলে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির পূর্বনির্ধারিত একটি কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ তিনজনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কারা হামলা চালিয়েছে তা উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের আহতের বিষয়টি তার জানা নেই।