সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আহত ওই কর্মকর্তার পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
শনিবারের (২৯ জুন) এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছেন সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিচা দাচিক।
সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি। হামলাকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘাড়ে ক্রসবো থেকে তীর ছুড়ে আঘাত হানে বলে দাচিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দাচিককে উদ্ধৃত করে সার্বিয়ার বার্তা সংস্থা তানুগ জানিয়েছে, তীরবিদ্ধ ওই পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থা সঙ্কটজনক এবং তার ঘাড়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
“এটি সার্বিয়ার বিরুদ্ধে চালানো একটি সন্ত্রাসী হামলা,” এক বিবৃতিতে দাচিক এমনটি বলেছেন বলে তানুগ জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
(যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে) নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো তাদের আগে থেকেই চিনতো এমন কিছু ইঙ্গিত আছে এবং আমরা ওয়াহাবি সংগঠন নিয়ে কথা বলছি, তবে এগুলো নিশ্চিত নয়,” বলেছেন দাচিক।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় তাদের দূতাবাসের কোনো কর্মী আঘাত পাননি।
সার্বিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম বি৯২ দাচিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ১১টার দিকে হামলাকারী ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনের ছোট একটি ভবনের দিকে এগিয়ে যান, তিনি একটি জাদুঘর খোঁজার ভান করছিলেন। এরপর তিনি ওই ছোট ভবনটির দরজা খোলেন, একটি ক্রসবো বের করেন এবং ভবনটির সামনে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে তীর ছোড়েন।
ওই কর্মকর্তা পাল্টা গুলি করার আধ ঘণ্টা পর গুলিবিদ্ধ হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
সার্বিয়ার বিশেষ কৌঁসুলিরা ঘটনাটি তদন্তের ভার নিয়েছেন। এই হামলা আরও বড় হুমকির অংশ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেলগ্রেডে ইসরায়েলি দূতাবাসে সম্ভাব্য হামলার চেষ্টা এটিই প্রথম নয়।