দুই দশকেরও বেশি সময় পর রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সফরের পেছনে তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে তার। উদ্দেশ্য তিনটি হচ্ছে—ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে আরও অস্ত্র পাওয়া, দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানো এবং নিরাপত্তা বিষয়ে জোর দেয়া। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০০ সালে ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন। এর ২৪ বছর পর আবার তিনি পিয়ংইয়ং গেলেন।
গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সেই সময় তিনি উত্তর কোরিয়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান রুশ প্রেসিডেন্টকে। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পিয়ংইয়ং সফরে গেলেন পুতিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ বুধবার সকালে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছান ভ্লাদিমির পুতিন। তাকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ সময় তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
পুতিনের এই সফরকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফর’ বলে উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই সফরে পর্যটন, শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে সহযোগিতা প্রসারিত করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
পিয়ংইয়ংয়ে রওনা দেয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সমর্থন দেয়ার জন্য পিয়ংইয়ংকে ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধ জোরদার করার জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ, নির্মাণশ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবক সেনা চাইতে পারেন পুতিন। বিনিময়ে পিয়ংইয়ং তার সামরিক বাহিনীর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইতে পারে মস্কোর কাছে।
তবে পুতিনের এই সফরকে সহজ চোখে দেখছেন না আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কিম হং-কিউন বলেন, ‘পুতিন এই সফরে হয়তো রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এমন সব চুক্তি করবে, যাতে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বাড়ে। যদি তাই হয়, তবে তা হবে জাতিসংঘের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ১৯ ও ২০ জুন ভিয়েতনাম সফরে যাবেন পুতিন।