Published : Wednesday, 12 June, 2024 at 4:43 PM, Update: 12.06.2024 4:46:39 PM
ঈদ-আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামের পথে ছুটছে মানুষ। তবে প্রথম দিনই ট্রেনের যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। কারণ, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সব কটি ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে। বিশেষ করে গরমে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নারী ও শিশুরা।
বুধবার (১২ জুন) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভোগান্তির কথা।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে। সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা স্টেশনেই পৌঁছায়নি। তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও পৌঁছায়নি।
শরীফ ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, সকাল ১০টার ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা হয়ে গেল, এখনও আসেনি। গরমে বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছি।
শারমিন আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি। এখনও ট্রেনের দেখা নেই। কী করব বুঝতেছি না। এমন দেরি করলে ভোগান্তির শেষ নেই।
বিলম্বের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, ঈদযাত্রার কারণে ট্রেনে বাড়তি কোচ যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য কিছুটা বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন।
এ বিষয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো আবার ছেড়ে যায়। কোনো ট্রেন বিলম্বে এলে এখান থেকেও দেরিতে ছেড়ে যায়। কারণ, ট্রেনগুলো ঢাকায় আসার পর ক্লিনিং ওয়াটারিং করা হয়। এর অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে।
এদিকে ঈদুল ফিতরের মতো এবারও প্ল্যাটফর্ম এলাকায় যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
যাত্রীদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে জন্য প্ল্যাটফর্মের প্রবেশমুখে র্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। প্রবেশমুখে যাত্রীদের টিকিট চেক করা হচ্ছে। যাদের টিকিট নেই, তারা ১-৬ নম্বর কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।