রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে। এবার দুজনকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করলেন আদালত।
তবে, এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ইমরানকে। আরও কিছু মামলার সাজা খাটছেন তিনি।
সোমবার (০৩ জুন) তাদের খালাস দিয়েছেন ইসলামাবাদ আদালত।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, রায় ঘোষণার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইমরান খানের বোন এবং শাহ মাহমুদ কোরেশির স্ত্রী ও কন্যারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত জানুয়ারিতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইমরান খান এবং তার দলের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এটি সাইফার মামলা নামে পরিচিত। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ইমরান খান ও কোরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।
এদিকে, সম্প্রতি ইমরান খানকে আরও দুই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত তাকে দাঙ্গা সংক্রান্ত দুই মামলায় খালাস দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গত বছরের ৯ মে পাকিস্তানে ব্যাপক দাঙ্গা হয়েছিল। ওই দাঙ্গা সংক্রান্ত দুটি মামালায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের এই নেতা। জেলা ও দায়রা আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে না পারায় ইমরান খানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মে দাঙ্গা সংক্রান্ত আরও দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরান খান। মামলা দুটি ইসলামাবাদের খান্না থানায় দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর খালাসের আদেশ দেন বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সাহিব বিলাল।
এ ছাড়া গত ২০ মে সহিংসতার দুটি মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন ইমরান খান ও তার দলের নেতারা।
গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়। ইমরান খানের সমর্থকেরা পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছিল। ওই সহিংস ঘটনার জেরে ইমরান খান ও তার দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার পিটিআই নেতাকর্মীকে।
২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে জেলখানায় রয়েছেন তিনি। মোট চারটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তবে, এর মধ্যে দুই মামলার কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে।
ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এদিকে, আইন বর্হিভূতভাবে বিয়ে করার অপরাধে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও জেলখানায় রয়েছেন।