দিনাজপুর বিরলের আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।এ সময় পুলিশের গুলিতে আরও অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে আহত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৬৫)। তার বাড়ি উপজেলার সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী (টিউবওয়েল) জোবায়দুর রহমানের চাচা মোহাম্মদ আলী।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ভোট গণনায় আজিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন জোবায়দুর রহমান। এর পর পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ফলাফল না মেনে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর ওই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালাতে থাকলে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড শটগান থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ঘটনাস্থলে পড়ে যায়।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ, বিরল ও আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। সকাল ৮টায় ব্যালটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।