Published : Sunday, 21 April, 2024 at 12:05 PM, Update: 21.04.2024 12:09:55 PM
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবেন। সেখানে জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হবে বলে জানিয়েছেন জাহাজ কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী জাহাজটি সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে।
এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ নির্ধারিত সময়ে দুবাই পৌঁছাবে। বিলম্বের সম্ভাবনা নেই। জাহাজ পৌঁছানোর পর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজন নাবিক বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবে। এছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন।
তিনি আরও বলেন, জাহাজে থাকা কয়লা দুবাই বন্দরে খালাস হবে। এরপর অন্য মালামাল লোড করে জাহাজটি বাংলাদেশে ফিরবে।
গত ১২ মার্চ দুপুরে এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
একপর্যায়ে ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।