Published : Saturday, 20 April, 2024 at 10:43 AM, Update: 20.04.2024 10:46:58 AM
মাত্র চার মাসের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দান বাক্স ও একটি অস্থায়ী ট্রাংক থেকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। এখন সে টাকার গণনা চলছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মসজিদের ১০টি লোহার সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় এ বিপুল পরিমাণ টাকা। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মসজিদের দান সিন্দুক থেকে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদের বিভিন্ন স্থানে রাখা নয়টি দান সিন্দুক ও একটি অস্থায়ী ট্রাঙ্ক থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মমতাজসহ প্রশাসনের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান বাক্সগুলো থেকে একে একে বের করে আনা হয় টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় বড় লোহার সিন্দুক থেকে বের করে আনা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। আছে সোনাদানাসহ বিদেশি মুদ্রাও। বস্তায় ভরে এসব টাকা নেয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে চলছে গণনার কাজ। সকাল ৯টায় শুরু হয় এ টাকা গণনার কাজ।
দানবাক্সে পাওয়া ২৩ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নেয় পাগলা মসজিদ নূরানি কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১১২ জন শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক মানুষ।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর সবশেষ মসজিদের দান সিন্দুক থেকে পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত মসজিদটি পাগলা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়। পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
এবার দানবাক্সে কতো টাকা জমা পড়েছে সেটি জানা যাবে সন্ধ্যার পর টাকা গণনা শেষ হলে।