চলতি বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সবশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করা হয়।
তাতে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেয়া হয়। বৈশ্বিক ঋণদাতা এই সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিরও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে। আগামী বছর তা কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশে হতে পারে। তবে ২০২৯ সালে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
বিশ্বব্যাংক চলতি মাসেই জানিয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। যদিও চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে।
আইএমএফ বলছে, আগামী দুই বছর অপরিবর্তিত তিন দশমিক দুই শতাংশ হারে অর্জিত হবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। তবে বাংলাদেশের জন্য আশার কথা হলো, চাঙ্গা হচ্ছে প্রধান রপ্তানি বাজারের দেশগুলোর অর্থনীতি।
সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরে বাড়বে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধি। এসব দেশে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া কিছুটা ধীর হওয়ায় বাড়বে সেসব দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। যা বাংলাদেশের মত দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক।