Published : Sunday, 14 April, 2024 at 3:10 PM, Update: 14.04.2024 3:21:09 PM
জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত করতে কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে বা মুক্তিপণ আদৌ দিতে হয়েছে কিনা তা নিয়ে মুখ খোলেনি জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, যা হয়েছে সব বৈধ উপায়েই হয়েছে।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পরে রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে জাহাজের মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাজের উদ্ধারের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করীম।
মেহেরুল করীমের কাছে মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মেহেরুল করীম, জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগে আমি আন্তর্জাতিকভাবে ও স্থানীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম। আমার সঙ্গে ওদের একটা কমিটমেন্ট আছে। যেটা নাকি কনফিডেন্সিয়াল এগ্রিমেন্ট। নট টু ডিসকাস আব্যাউট র্যানসাম। সো, আমাকে আপনারা যতই চেষ্টা করেন আই উইল নট। এই ব্যাপারে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমার কনফিডেন্সিয়াল এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সাথে কিছুই শেয়ার করতে পারব না। কারণ আমি ওইটায় সাইন করেছি। আমি আপনাকে আবার বলি, আমরা আমেরিকার নিয়ম মেনেছি, আমরা ইউকের নিয়ম মেনেছি, ফাইনালি কেনিয়ার নিয়ম মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের এগ্রিমেন্ট করা আছে নট টু ডিসকাস দিস পার্ট। আমি আবার বলি, এভ্রিথিং লিগ্যাল ওয়েতে করা হয়েছে।
‘পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণেই এমভি আবদুল্লাহ দ্রুত মুক্তি পেয়েছে’‘পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণেই এমভি আবদুল্লাহ দ্রুত মুক্তি পেয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে কবীর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, কিছু জিনিস আমাদের গোপন রাখতে হবে। আমরা জলদস্যুতাকে প্রোমট করতে পারিনা।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিপণ সংক্রান্ত যে সংবাদ ও ছবি প্রচার করা হচ্ছে এসবের সত্যতা নেই। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে তারা। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতা। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল। ঘটনার পরপরই জাহাজটি উদ্ধারে যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ।
এমনকি জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দী দশায়। তবে তাদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে বাংলা নববর্ষের দিন সুখবর এল। নিশ্চিতভাবে এটি নতুন বছর বরণের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।