স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। ৭ম দিন মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।
এদিন সকাল থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়েছে। মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কি না। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে ভরপুর।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।
রংপুর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোনো অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।