ঈদের লম্বা ছুটির কারণে বন্ধ থাকবে দেশের ব্যাংকগুলো। এ সময় চাহিদা মেটাতে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে ব্যাংকগুলোতে। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে অনেক ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাও ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। সকাল থেকে ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় প্রচুর গ্রাহকের উপস্থিতি ছিল। প্রতিটি শাখায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় ছিলেন গ্রাহকরা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল ও দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখায় সকাল থেকেই ক্যাশ ও জমা কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন দেখা গেছে। নতুন নোট বিনিময়ের পাশাপাশি চালানপত্র, ডিপোজিটসহ বিভিন্ন সেবার বিল জমা দেয়ার লাইন রয়েছে। অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পূবালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ঈদকে ঘিরে কেনাকাটা করে থাকেন নগরবাসী। এতে নগদ অর্থের প্রয়োজনে গ্রাহকরা ব্যাংকমুখো হন।
ব্যাংকের নগদ টাকা গ্রহণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কাউছার নামের এক ব্যক্তি বলেন, টাকা তুলতে প্রায় আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কালকের পরে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। এবার বেশ কয়েকদিন ছুটি তাই কয়েকদিনের টাকা তুলতে এসেছি।
সুমন নামে আরেকজন বলেন, আজকে অফিসের বেতন ঢুকেছে। টাকা তুলতে এসেছি। অন্যান্য দিনের থেকে আজকে বেশি ভিড় দেখছি।
একই অবস্থা দেখা যায় ইসলামী ব্যাংকের আরেক শাখায়, কথা প্রসঙ্গে এই শাখার এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকদিন ধরেই গ্রাহকের অনেক চাপ। আজ ও কালকে চাপ একটু বেশি থাকবে। ঈদের ছুটির কারণে মানুষ বাড়ি যাবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এ শাখায় অনেক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তারাও কর্মীদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য টাকা উত্তোলন করছে। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই প্রচুর চাপ। আমারাও নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পাশের রূপালি ব্যাংকের আরেক শাখাতেও গ্রাহকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কমকর্তাদেরও যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।