মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় সন্তুষ্ট এডিবি। সামনের দিনে বাংলাদেশের সাথে এডিবির সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আগামী বাজেটে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে এডিবি।
তিনি বলেন, আমরা এডিবির বার্ষিক সম্মেলনে যাচ্ছি। সেখানে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু সো ফার আমরা খুবই হ্যাপি। যেভাবে উন্নত হচ্ছে এবং আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং, তারা আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে। আমরা খুবই সন্তুষ্ট।
আমাদের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এডিবি প্রতিনিধিদলের কোনো অবজারভেশন আছে কি, এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না কোনো অবজারভেশন নেই। ওরা খুব খুশি।
এ সময় অর্থসচিব বলেন, এডিবি আমাদের ৫০ বছরের বন্ধু। আমরা এডিবির কাছ থেকে ফান্ড পেয়ে আসছি, ভবিষ্যতে যেন আরও পাই, সে জন্য স্যার (অর্থমন্ত্রী) রিকুয়েস্ট করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সাপোর্ট আমাদের নতুন উইন্ডো, বাজেট সাপোর্টে এডিবি আমাদের অনেক হেল্প করেছে।
তিনি বলেন, করোনার সময় আমাদের বাজেট সাপোর্টে দেয়ায় আমরা অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারছি। এই বাজেট সাপোর্ট যাতে আরও বাড়ে, সে জন্য স্যার রিকোয়েস্ট করেছেন।
বাজেটে আরও সহযোগিতা চাওয়ার প্রেক্ষিতে এডিবির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, আলোচনা করছি আমরা।
চলতি বছরের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় চার হাজার কোটি টাকার বেশি) বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। গত বছরের ১১ ডিসেম্বরে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকেও ৯ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার ১৭৬ কোটি ডলার, ২০২২১-২২ অর্থবছরে ২৫৯ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৯ কোটি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নেয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ কোটি ডলার।