সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে জলদস্যুরা। তাই খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না জাহাজের নাবিকেরা। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন।
জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তাদের বরাতে শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।
প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময় ১০০ দিন পর নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই জাহাজে থাকা নাবিকরা জানান, তখন জাহাজটির খাবার ফুরিয়ে গেলে জলদস্যুরা তাদের জন্য প্রতি সপ্তাহে দুটি করে দুম্বা নিয়ে আসত।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।
সোমালিয়ায় জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের প্রতিদিন জাহাজ মালিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে জলদস্যুরা। প্রথমবারের মতো কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হওয়ার তথ্য গত বুধবার জানায় জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা আশা করছেন, আগের চেয়ে কম সময়ে জিম্মি ২৩ নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করতে পারবেন। এদিকে জাহাজে খাবার ও পানি ফুরিয়ে এলেও তাতে কোন সংকট হবে না বলে মনে করছে জাহাজ মালিকরা।