সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিচ্ছে থাইল্যান্ড। বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত বিয়ের বিল পাস হয়। ফলে, সমকামী বা এলজিবিটিকিউ বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড।
থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪০০ জন সদস্য সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে বিলটিতে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র দশটি। তবে থাইল্যান্ডের রাজা অনুমোদন দেয়ার আগে সিনেটে এই বিল অনুমোদন পেতে হবে। এরপরই এটি রয়্যাল গ্যাজেটে প্রকাশ করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সংসদ কক্ষে এক প্রতিনিধি বিশাল এক রংধনু পতাকা নিয়ে আসেন।
এলজিবিটিকিউ অধিকারের জন্য চাপ দেয়া প্রগতিশীল দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সদস্য তুনিয়াওয়াজ কামলওংওয়াত এএফপিকে বলেন, আজ সমাজ আমাদের প্রমাণ করেছে, তারা এলজিবিটি অধিকারের বিষয়ে যত্নশীল। অবশেষে আমরাও এখন অন্যদের সমান অধিকার পাব।
এশিয়ায় শুধু তাইওয়ান ও নেপালে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামী বিষয়ক সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন। থাইল্যান্ডে এখন আন্তর্জাতিক এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও কয়েক দশক ধরেই রক্ষণশীল মনোভাব এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে থাই অধিকারকর্মীরা।
প্রস্তাবিত বিলে বিয়ের আইনে ‘পুরুষ’, ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ এর বদলে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমকামী দম্পতিরা প্রথমবারের মতো উত্তরাধিকার ও দত্তক নেয়ার অধিকার উপভোগ করতে পারবেন।