পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে নান্দনিক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এ নির্মাণ প্রকল্প দেখে মুগ্ধ হন তিনি।
বাঙালির সক্ষমতার স্মারক পদ্মা সেতু। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও এই সেতু ঘিরে রয়েছে আলোচনা আর কৌতুহল। তাই ভূটানের রাজা পরিদর্শন করলেন এই সেতু।
সেতুর মাঝামাঝি ১৮ নম্বর পিয়ারের কাছে গাড়ি থামিয়ে নেমে পরেন ভূটান রাজা। তিনি টানা ১০ মিনিট ধরে সেতুতে অবস্থান করেন। এ সময় সেতুতে ছবিও তুলেন ভূটানের রাষ্ট্র প্রধান।
পদ্মা সেতুতে ভিনেদশি রাজার আগমনে খুশি পদ্মা পারের মানুষ। জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক সেতুর সার্ভিস এরিয়া- ২ এ গেলে সেতু কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন অভ্যর্থনা জানান। সেখানে সেতু সম্পর্কে ব্রিফ করেন প্রকল্প পরিরচালক। এসময় ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিলসহ দেশটির অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রাজার আগমনে পুরো সড়ক পথেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
ভূটান রাজা সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করেন। আর ৯টা ৩০ মিনিটে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে তিনি সেতু থেকে নামেন। আবার ফিরতি পথে মাত্র ৫ মিনিটে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেন ১০টা ৩৮ মিনিটে।
সোমবার (২৫ মার্চ) চার দিনের সফরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের রাজা। সফর শেষে তিনি ২৮ মার্চ বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়বেন।
তবে ভুটানের রাজার সফরসঙ্গীদের একাংশ ২৭ মার্চ বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বিদায় নেবে। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফর করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।