নির্বাচনের আগে অর্থ সংকটে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতের করা জরিমানা পরিশোধে অপারগতা জানিয়েছেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
সম্পত্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কের আদালত ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে বিপুল এই অর্থ সমমূল্যের বন্ড বা নগদে শোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এতে বন্ধক বা বিক্রি হতে পারে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সম্পত্তি। জরিমানা পরিশোধ না করলে ট্রাম্পের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ ঘটনায় গুঞ্জন উঠেছে, তবে কি নির্বাচনের আগে অর্থ সংকটে ডোনাল্ড ট্রাম্প? বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানা যায়, আগে থেকেই আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে আপিল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ নগদে অথবা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া বিপুল এই অর্থ সমতুল্যের বন্ড দিতে কোনো প্রতিষ্ঠান আগ্রহী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বন্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে আদালতকে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। তবে অর্থের পরিমাণ বিপুল হওয়ায় তা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ট্রাম্প তার কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে সে অর্থের যোগান দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, জরিমানা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বিপরীতে প্রতিদিন এক লাখ ১২ হাজার ডলার করে সুদ যোগ হচ্ছে। নির্বাচনের আগে মামলা নিয়ে এসব দৌড়ঝাঁপ নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।