শিরোনাম: |
নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার অনুমতি না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেন পার্লামেন্টের পিটিআই সমর্থিত সদস্যরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
এর আগে সকালে অধিবেশনের শুরুতে পার্লামেন্টের সদস্যদের শপথ পড়ান স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। শপথ নেয়ার পরপর পিটিআই-এসআইসির আইনপ্রণেতারা পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার অনুমতি চান। তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়ে স্পিকার বলেন, আগে নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের রেজিস্ট্রারে সাক্ষরে করতে হবে। তার আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার সুযোগ নেই।
এসময় পিটিআই-সমর্থিত পার্লামেন্ট সদস্যরা স্পিকারের আসনের পাশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এরপর স্পিকার তাদের শান্ত করে নিজ নিজ আসনে বসার আহ্বান জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পোস্ট করা ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সংসদ সদস্যরা ইমরানপন্থি স্লোগান দিচ্ছেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই ও এসআইসি-এর নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ‘ইমরান খান জিন্দাবাদ’ এবং ‘পিটিআই এসেছে’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশ শুধু সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠের পর বৈঠকের মুলতবি ঘোষণা করা হবে।
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। সেদিনই তাদেরকে শপথ পাঠ করানো হবে। তারপর শনিবার তৃতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন সংসদ সদস্যরা।
স্পিকার পদে সরদার আয়াজ সাদিককে মনোনয়ন দিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। স্পিকার নির্বাচনে আয়াজ সাদিকের বিপরীতে আছেন পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই-সমর্থিত আমির ডোগার। প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দিয়েছে পিএমএল-এন।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শাহবাজ শরিফের বিপরীতে লড়বেন পিটিআই-সমর্থিত ওমর আইয়ুব। পিপিপির নেতা আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ডেপুটি স্পিকার পদে লড়ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী গোলাম মুস্তফা শাহ।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। সাধারণ পরিষদের ২৬৪টি আসনে ভোট হয়। এই নির্বাচনে পাকিস্তান হরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯০ আসনে জয় পান। তবে ৭৯ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএমএল-এন আর ৫৪ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপি ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে কেন্দ্রে ও প্রদেশগুলোতে সরকার গঠন করছে।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|