শিরোনাম: |
শীত মৌসুমের শেষ দিকে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। যশোরের শার্শা ও বেনাপোলের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৪ টাকা। এ ছাড়া কপি, মুলা, গাজরসহ অধিকাংশ সবজির দাম গেছে কমে। কম দামে সবজি কিনতে পেরে ক্রেতারা খুশি হলেও লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
সোমবার শার্শা ও বেনাপোলের পাইকারি বাজারে দেখা যায়, কপি, মুলা, গাজরসহ অধিকাংশ সবজি ৫ থেকে ৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সময়ে প্রতিবছর সব ধরনের সবজির দাম থাকে কম। তবে এ বছর সব ধরনের সবজির দাম ছিল অনেকটা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গত এক সপ্তাহ আগেও শার্শা নাভারন ও বাগআচড়া বাজারে খুচরা ও পাইকারি বেগুন, মুলা, গাজর, কপি, সিমসহ অধিকাংশ সবজি প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ এমন দাম কমে যাওয়ার ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকদের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ।
নাভারন বাজারে আসা সবজি ক্রেতা ফরিদ গাজি বলেন, সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হতো। ৫০০ টাকা সবজি কিনলেও ব্যাগ ভরতো না। তবে আজ দাম কম হওয়ায় ভালো লাগছে। অনেক সবজি কিনেছি আজ।
বিক্রেতা সালমান হোসেন বলেন, বাজারে সবজির মজুত কম থাকলে দাম বাড়ে। পেঁয়াজ, আলু, মরিচ ও সিমের দাম ছিল বেশি। সম্প্রতি বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। এবার রমজানে বাজারে স্বস্তি থাকবে আশা করি।
তবে এভাবে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছে। ফজের আলী নামে এক কৃষক জানান, সবজি চাষে লাভের মুখ দেখেন তারা। এবার প্রথমদিকে সব ধরনের সবজিতে দাম ভালো পেয়েছেন। তবে শেষের দিকে এসে বাজারে ধস নামায় কিছুটা বিপাকে তারা।
নাভারন সবজি বাজার কমিটি যুগ্ম সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, বাজারে প্রতিদিন পর্যাপ্ত কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে। ফলে নিম্নমুখী হচ্ছে বাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। এবার রেকর্ড পরিমাণে দাম কমেছে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিপক কুমার মন্ডল বলেন, এবার সব ধরনের সবজির দাম ভালো পেয়েছে কৃষকরা। উপজেলায় লক্ষ্যের অতিরিক্ত সবজির চাষ হয়েছে। তবে প্রতি বছর এই সময়ে সবজি বাজারে সরবরাহ বাড়ে। ফলে কিছুটা কমে যায় দাম। কিছু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম কমানো হয়েছে কি–না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|