বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা শীর্ষে। আইকিউএয়ারের সূচকে ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২৩৯।
শুক্রবার সকাল ৮টা ২৩ মিনিটেও বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২২৩; তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ২১৯, চতুর্থ ভারতের কলকাতা, স্কোর ১৯৯; পঞ্চম ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ১৮৭; ষষ্ঠ ভারতের মুম্বাই, স্কোর ১৮৫; সপ্তম মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, স্কোর ১৮৩; অষ্টম নেপালের কাঠমান্ডু, স্কোর ১৭২; নবম পাকাস্তিানের করাচি, স্কোর ১৭২; দশম স্থানে রয়েছে চীনের হ্যানয়, স্কোর ১৬৮।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।