শিরোনাম: |
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
এর আগে, রোববার (৪ জানুয়ারি) সকালে বাহিনীটির ১৪ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ১৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো।
এদিকে, রোববার সকাল থেকেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ভোরে গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেপে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া বুলেট ও মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তবর্তী বসতবাড়িগুলোতে।
এতে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ছে। গোলাগুলির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া, কৃষিকাজসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছে বাসিন্দারা।
স্কুলগুলো হলো বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম মিশকাতুল নবী দাখিল মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। এতে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে আতঙ্কে তুমব্রু সীমান্তের কাছে দুই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশি অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রোববার ভোর থেকেই মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এ সময় স্থানীয়দের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অপরদিকে, বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছে। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|